Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

দর্শনীয় স্থান

(ক) পাগলা জামে মসজিদ সিলেট থেকে ১ঘন্টা গাড়ি দূরত্বে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পার্শ্বে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা নামক স্থানে মহাসিং নদীর তীরে পাগলা মসজিদ অবস্হিত। মূলত নির্মাণশৈলী ও অপূর্ব কারুকাজের জন্য এই মসজিদটি বিখ্যাত। এলাকার ব্যবসায়ী ইয়াসীন মির্জা ব্যবসা উপলক্ষে তিনি ভারতের কলকাতাসহ নানা জায়গায় ভ্রমণ করতেন। ভ্রমণের সুবাদে বিভিন্ন জায়গার স্থাপত্যশৈলী দেখে তিনি এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৩১ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টানা দশবছর কাজ চলে। প্রধান মিস্ত্রি আনা হয় কলকাতা থেকে। দোতলা মসজিদের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার, প্রস্থ ৫০ মিটার। গম্বুজের উচ্চতা ২৫ ফিট, দেয়ালের পুরুত্ব ১০ ফিট। মসজিদের ৩টি গম্বুজ ও ৬টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে। মসজিদের দোতলার ছাদে রেললাইনের স্লিপার ব্যবহার করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ে নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল ১০লাখ টাকা। এলাকায় এই মসজিদ রায়পুর বড় মসজিদ নামেও পরিচিত। বিখ্যাত পাগলা মসজিদ দোতালায় উঠার সিড়ি দোতালার বারান্দা থেকে দেখা মহাসিং নদী দোতালার প্রবেশদ্বার ইমাম সাহেবের নামাযের স্থান নকশাদার দরজার ঐপাশে প্রতিষ্ঠাতার কবরস্থান দোতালার অভ্যন্তরীণ দেয়ালের বিভিন্ন নকশা গম্বুজের ভিতরের নকশা দেয়ালের দামী পাথর ব্যবহার করা হয়েছে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য দোতলা থেকে দেখা মসজিদ প্রাঙ্গনের নদীঘাট মসজিদের একাংশ

 

(খ) পাগলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাকবাংলো: পাকিস্থান আমলে এ ডাক বাংলোটি তৈরী করা হয়। বাংলোটিতে ২ টি রম্নম রয়েছে। ৪ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

 

(গ) রাধা মধাব জিউর আখড়া আনুমানিক ২০০ বছর পূর্বে জানকী মা নামে একজন বৈষ্ণবী রাধা মধব জিউর আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করেন। পাথারিয়া ইউনিয়নের ১১০ একর জায়গার উপর আখড়াটি অবস্থিত। দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা পার্বণ করাই আখরাটির মূল উদ্দেশ্য। এখানে যুলন যাত্রা, রথ যাত্রা, দোল পূর্ণিমা ইত্যাদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে থাকে। বর্তমানে ইস্কন নামে একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আখরাটি পরিচালনা করছে।

 

(ঘ)বিস্থীর্ণ হাওরের জীব বৈচিত্র ও নৈসর্গিক দৃশ্য: দেখার হাওর: সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ঘেঁষে দেখার হাওর। চারটি উপজেলা বেষ্টিত দেখার হাওর জেলার অন্যতম বড় হাওর। সুনামগঞ্জ সদর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আর ছাতক উপজেলায় এই হাওর বিস্তৃত। এটি দেশের বোরো ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। ধানি জমির পরিমাণ প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর। হিজল, কড়চ, নলখাগড়াসহ অনেক জলজ উদ্ভিদ আছে এ হাওরে। বর্ষাকালে উক্ত হাওর দেখার মজাই আলাদা। মনে হয় এ যেন এক উপসাগর। বর্ষার রাতে জোছনায় ভেসে যায় দূরের গ্রামগুলোও। কুপি জ্বলে সেথায়। জেলেদের নৌকায়ও বাতি বাতি। মাঝিরা ইঞ্জিন বন্ধ করে বাউরি বাতাসের অনুকূলে নৌকা চালায়।